এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১২

ভূমি ও অর্থনীতি


ভূমি ও অর্থনীতি

প্রধান পেশা:

কৃষিকাজ ৪৩.২৮%, ব্যবসা ১১.৬%, চাকরি ১০.৭৮%, কৃষি শ্রমিক 
১৫.৮৯%, দিনমজুর ২.৪৬%, নির্মাণ শ্রমিক ১.০৩% এবং অন্যান্য 
১১.৬%।

ব্যবহারযোগ্য ভূমি:

 মোট আবাদযোগ্য জমি ২৪৩৫৯৬.৯৩ হেক্টর; একফসলা জমি ১৮.০৫%, 
দোফসলা জমি ৬৩.৯৯% এবং ত্রিফসলা জমি ১৭.৯৬%।
 কৃষকদের মধ্যে ৩০% ভূমিহীন কৃষক, ৪৬% ছোট কৃষক, ২০% মধ্যম 
কৃষক এবং ৪% ধনী কৃষক।

ভূমির মূল্য :

ভাল মানের প্রতি হেক্টর ভূমির বাজারমূল্য হচ্ছে ১৩৫০০ টাকা।
প্রধান ফসল :

ধান, পাট, গম, তেলবীজ, বেগুন ইত্যাদি।

প্রধান ফল :

আম, কাঁঠাল, কলা, নারিকেল, তাল, পেয়ারা ও কালোজাম।

ফিশারি, ডেইরি ও পোলট্রি:

 ডেইরি ২৮ টি, পোলট্রি ১০৯ টি, ফিশারি ২৭ টি, হ্যাচারি ৬৯ টি ও নার্সারি ২০০ টি।

শিল্পকারখানা :

সপ্তদশ শতকের শেষার্ধে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ অঞ্চলের চার্পাতা নামক 
স্থানে একটি কটন মিল স্থাপন করে। বর্তমানে কুমিল্লার খদ্দর কাপড় সারা 
দেশে অত্যন্ত বিখ্যাত। এখানে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য টেক্সটাইল মিলঃ হালিমা 
টেক্সটাইল মিলস; লোহা ও স্টিল ফ্যাক্টরিঃ মোজাহের সমবায় মিল, রাধারানী 
ম্যানুফ্যাকচারিং ওয়ার্কস, কাইয়ুম স্টিল মিলস লিমিটেড; ফার্মাকিউটিকালস-
 স্কাইল্যাব, কুমিল্লা আয়ুর্বেদিক ফার্মেসি, শর্মা কেমিকেল, অ্যার্কো ইন্ডাস্ট্রি 
প্রভৃতি।

কুটিরশিল্প :

কুমিল্লা বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত। অন্যান্য কুটিরশিল্পের মধ্যে 
রয়েছেঃ বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, শীতল পাটি, হুকা, মাদুর প্রভৃতি।

হাট ও বাজার এবং মেলা :

কুমিল্লার প্রধান প্রধান হাট ও বাজারসমূহ হচ্ছেঃ দুলালপুর, কোম্পানীগঞ্জ,
 রাজগঞ্জ, বিবির বাজার, দৌলতগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, নিমসার, চান্দিনা, 
গুনাবতী বাজার, হোমনা, রামচন্দ্রপুর, চন্দনাইল বংশনগর, চৌদ্দগ্রাম, 
গোবিন্দপুর, মনিপুর, চান্দিমুরা, মাধবপুর, মহানপুর, রসুলপুর, সৈয়দপুর, 
মাধাইয়া, ইলিয়টগঞ্জ, বরইকান্দি, চাঙ্গিনী বাজার, চকবাজার ইত্যাদি।
 বিখ্যাত মেলাসমূহের মধ্যে ময়নামতি মেলা, পুনরা মেলা, চন্দলা মেলা,
 বায়রা মেলা, বেতাখালী মেলা, ঠান্ডা কালিবাড়ি মেলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানী পণ্য:

 খদ্দর কাপড়, নারিকেল, শুটকি, ডিম, পোলট্রি, সুয়েটার, পোশাক, মৃৎশিল্প, 
হস্তশিল্প এবং কুটিরশিল্প।

প্রাকৃতিক সম্পদ :

প্রাকৃতিক গ্যাস কুমিল্লার প্রধান সম্পদ। কুমিল্লার অদূরে মুরাদনগর 
উপজেলার শ্রীকাইলে বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত। ১৯৬৯ সালে এটি 
আবিষ্কৃত হয় এবং ১৯৮৪ সাল হতে গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে 
গ্যাস উত্তোলন চলছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন